Teya Salat
Blog
Bhola district map-001
আনুমানিক ১২৩৫ সালে বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি সু-বিশাল দ্বীপ (বর্তমান ভোলা) জেগে উঠে। এরপর ১৩০০ সালে দিকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে এখানে বসবাস শুরু করে এবং তারা জীবন নির্বাহের জন্য চাষাবাদকে বেছে নেয়। এ দ্বীপে ধান, নারকেল, সুপারি ও অন্যান্য ফসলের প্রচুর প্রাচুর্য ছিল বিধায় ১৫০০ সালের দিকে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুরা এ দ্বীপে তাদের ঘাটি স্থাপন করে এবং এখান থেকেই তারা বঙ্গদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লুটপাট চালায়।এরপর এ অঞ্চলটি সুবে বাংলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। ঐসময় সম্রাট আকবরের অন্যতম সেনাপতি শহবাজ খান মগ ও পর্তুগীজদের দমনের জন্য বর্তমান দৌলতখানে একটি দূর্গ স্থাপন করে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। মূলত এই সেনাপতির নামানুসারেই সুবেদারী আমলে ভোলার নামকরন করা হয়েছিল শহবাজপুর।১৮২২ সাল পর্যন্ত ভোলা দক্ষিন শাহবাজপুর নামে বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি অংশ ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে মেঘনার শাখা নদী ইলিশা ও তেঁতুলিয়া বৃহত্তর আকার ধারন করায় ভয়ংকর কালাবঁদর নদী পাড়ি দিয়ে. নৌপথে জেলা সদর দফতরের(বাকেরগঞ্জের) সাথে দক্ষিন শাহবাজপুরের যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এজন্য ১৮৪৫ সালে ভোলাকে নোয়াখালীর অধীন মহকুমা করা হয়। এর প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল দৌলতখানের আমানিয়া। ১৮৬৯ সালে ভোলা. মহকুমা বরিশালের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৮৭৬ সালে ভোলা মহকুমার সদর দফতর দৌলতখান থেকে ভোলায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯২০ সালে ভোলা পৌরসভা স্থাপন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখে. ভোলা বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

Chowdhury-bari-bohanuddin

ভোলার জমিদারী প্রথা, বিলুপ্তি ঘটে অনেক আগেই কিন্তু এখনো অনেক জমিদার বাড়ী সগৌরবে দাড়িয়ে আছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে। যেমন- মানিকা মিয়া বাড়ী, কুতুবা মিয়া বাড়ী, দেউলা তালুকদার বাড়ী, পরান তালুকদার বাড়ী, বোরহানুদ্দীন চৌধুরি বাড়ী, রজনী করের বাড়ী ইত্যাদি। তবে দৌলতখানের জমিদার কালা রায়ের বাড়ী ছিল সবচেয়ে বিখ্যাত। কিন্তু তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

ভোলায় এককালে লবন তৈরি হত। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি খাল দিয়ে ভোলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে, তা আটকিয়ে আগুনে জ্বাল দিয়ে লবন তৈরি করা হত। এসব লবন মির্জাকালু ও তজুমুদ্দিনে বিক্রি করা হত। সেসময় ভোলার অনেক লোক এ লবন তৈরির কাজের সাথে জড়িত ছিল। লবন উৎপাদনকারী যারা তাদের বলা হত মহিন্দর। লবন ব্যবসায়ী যারা তাদের বলা হত মোলাদী। আর লবন যারা গোলাজাত করত তাদের বলা হত গোলদার। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের লবন কর বৃদ্ধি ও অন্যান্য বিধি-নিষেধের কারনে ভোলায় ১৯৩০ সালে লবন বিদ্রোহ দেখা দেয়। ঐসময় পুলিশের অমানবিক গুলিতে কয়েকজন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এসব নানা জটিলতায় তা বন্ধ হয়ে যায়।




U-ON
Bhola, Bangladesh
Home |
Back |
Top ^

Www.Bhola.Waphall.Com